প্রসঙ্গ আন্দোলন : বিএনপি-আওয়ালীগের পাল্টাপাল্টি বক্তব্য

প্রকাশঃ অক্টোবর ১৭, ২০২২ সময়ঃ ৩:৫০ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৩:৫০ অপরাহ্ণ

পুরো দেশ জুড়েই চলছে আন্দোলন। চলছে সভা-সমাবেশ আর মিছিল। এই আন্দোলন বাধাগ্রস্ত করতে মামলার কৌশল নিতে পারে সরকার এমন আশঙ্কা করে মোকাবিলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি। বিরোধী এই দলটির আইনজীবী ও নেতারা বলছেন, এবার মামলা করে লাভ হবে না। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, তাদের কৌশল জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা।

আগের মতো জ্বালাওেোপড়াও করলে বিএনপিকে রাজনৈতিক মাশুল গুনতে হবে। অতীতের মতো এবারও জ্বালাও-পোড়াও চলবে না বলে সর্তক করেছে সরকারী দল। এ নিয়ে আজ আন্দোলন নিয়ে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য বিএনপি-আওয়ালীগের
আফজাল হোসেন। ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে-পরে এবং ২০১৮ সালের নির্বাচন ঘিরে দেশব্যাপী জ্বালাও-পোড়াওর ঘটনায় বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হওয়া মামলা এখনো বিচারাধীন। দলটির হিসাবে নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দেড় লাখের বেশি পুরনো মামলা ঝুলছে।

চলমান আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার ঘটনায় নতুন করে আবার মামলা হচ্ছে। ২২ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত হওয়া মামলায় আসামির সংখ্যা ৩০ হাজার বলে দাবি বিএনপির। ফলে নতুন-পুরনো মামলায় গ্রেফতার আতঙ্ক বাড়ছে নেতাকর্মীদের মধ্যে। নেতারা বলছেন, চলমান আন্দোলন বন্ধ করতে মামলাকে ফাঁদ হিসেবে ব্যবহার করলেও এবার লাভ হবে না।

বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, আওয়ামী লীগের পায়ের নিচে মাটি নেই। তাদের শেষ আশ্রয়স্থল হচ্ছে এখন মামলা-মোকাদ্দমার মাধ্যমে বিএনপি নেতাকর্মীদের স্তিমিত করার অপচেষ্টা।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান জয়নুল আবেদীন বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা মামলা-মোকাদ্দমাকে এখন আর ভয় পায় না। এখন তারা নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের জন্য আন্দোলন করছেন। এ আন্দোলন মামলা-মোকাদ্দমার ভয় দেখিয়ে আর দমন করা যাবে না।

বিএনপির আন্দোলন মোকাবিলায় জনগণের ওপর ভরসা রাখছে আওয়ামী লীগ। নেতারা বলছেন, এটিই তাদের একমাত্র কৌশল। অতীতের মতো জ্বালাও-পোড়াও করলে রাজনৈতিকভাবে মাশুল দিতে হবে বিএনপিকেই। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, কৌশল একটাই জনগণের জানমাল রক্ষার্থে, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মানুষের সঙ্গেই থাকবেন।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ২০১২ সালের পর থেকে সরকার পতনের জন্য বহু আন্দোলন করেছে তারা। মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছে, পেট্রল দিয়ে গাড়ি পুড়িয়েছে, ট্রেন-বাসে আগুন দিয়েছে। প্রায় সাড়ে ৩৫০ মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। দুই হাজারের বেশি মানুষকে আহত করেছে। এসব কারণে তারা রাজনীতি থেকে অনেক দূরে চলে গিয়েছিল। আগামীতেও তারা যদি এ ধরনের কর্মকাণ্ড করে তাদের তার মাশুল দিতে হবে। আওয়ামী লীগকে আন্দোলনের হুমকি দিয়ে কোনো লাভ হবে না বলেও মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ নেতারা।

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G